সকালে খালি পেটে রসুন খেলে কি হয়?

সর্বাধিক ব্যবহিত খাবারের তালিকায় থাকা রসুন অত্যন্ত পুষ্টি গুণে ভরপুর এবং এটি আমাদের নিত্যদিনের খাবারে ব্যবহৃত সুপরিচিত একটি জিনিস। রসুন তরকারিতে ব্যবহারের পাশাপাশি ভর্তা বা রসুনের কোয়া কাচা খাওয়া যায়। দৈনিক খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয়। কেন এই রসুন আপনার দৈনিক খাবারের তালিকায় রাখবেন চলুন জেনে নিন তার কারনঃ-

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

২. কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

৩. রক্তচাপ কমায়।

৪. হজমে সহয়তা করে।

৫. ক্ষতিকর পদার্থ দেহ থেকে অপসারণ করে।

৬. হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।

৭. জালাপোড়া দুর করে।

৮. কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

৯. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

১০. কিডনির বিভিন্ন রোগ নির্মূল করতে সহায়ক।

এবার চলুন এসবের বিস্তারিত জেনে আসিঃ-

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

রসুনে বিদ্যমান অ্যালিসিন নামক এন্টি অক্সিডেন্ট মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি বিভিন্ন সংক্রমক এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করে। নিয়মিত রসুন খেলে সাধারণ সর্দি ও অন্যান্য রোগের তীব্রতা কমাতে পারে।

২. কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

রসুন খেলে মানুষের আমাদের দেহে বিদ্যমান খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায় এবং যেসব ভালো কোলেস্টেরল থাকে তাদের মাত্রা অনেক গুণে বেড়ে যায়। আমাদের দেহে বিদ্যমান ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা যদি ভারসাম্য থাকে তাহলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতো সমস্যার ঝুকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। রসুনে বিদ্যমান অ্যালিসিন ছত্রাকজনিত সংক্রমনের সম্ভাবনার মতো বড় সমস্যাকে প্রায় একেবারেই নিমূল করে দেয়। আর্থ্রাইটিস রোগ অর্থাৎ শরীরের বিভিন্ন গিটে ব্যথা থেকে মুক্তি মেলে রসুন খেলে।

৩. রক্তচাপ কমায়

রসুনে থাকা অ্যালিসিন রক্তনালী গুলো শিথিল করতে সহয়তা করে এবং রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে সহয়তা করে। রসুন হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

৪. হজমে সহয়তা করে

রসুন আমাদের দেহের কার্যক্ষমতা ধরে রাখতে সহয়তা করে। গ্যাস্ট্রিক নির্মূলে রসুনের নির্যাস অত্যন্ত কার্যকরী। রসুনে বিদ্যমান থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো শরীরের বিভিন্ন ধরনের পরজীবী ও মাইক্রোবিয়াল সংক্রমক মেরে ফেলে। নিয়মিত রসুন সেবনের ফলে আমাদের পেট ফোলাভাব, কোলাইটিস, গ্যাস, কোষ্টকাঠিন্য ও আলসার দুর হয়।

৫. ক্ষতিকর পদার্থ দেহ থেকে অপসারণ করে

রসুন সেবনে ডিটক্সিফিকেশনের জন্য দায়ী লিভারের এনজাইম গুলোকে বাড়িয়ে দেয়। রসুনে বিদ্যমান সালফার যৌগ আমাদের শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে।

৬. হাড়ের ক্ষয় রোধ করে

রসুনে থাকে মাঙ্গানিজের ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬ এর মতো পুষ্টি উপাদান যা মানবদেহের হাড়গুলোকে শক্ত ও মজবুত করে এবং ক্ষয় রোধ করে।

৭. জ্বালাপোড়া দুর করে

রসুনে থাকা সালফার যৌগগুলোর শক্তিশালি অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি প্রভাব রয়েছ। যার ফলে শরীরে জ্বালাপোড়া কমে যায়।

৮. কর্মক্ষমতা বাড়ায়

রসুন আমাদের দেহের নাইট্রিক অ্যাসিড উৎপাদন বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী। এটি রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে। শরীরের সকল মাসেলস্ গুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ করে যায়, ফলে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও সকল ক্লান্তি দূর হয়।

৯. ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে

রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য গুলো ব্রণ কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

১০. কিডনির বিভিন্ন রোগ নির্মূল করতে সহায়ক

রসুনে বিদ্যমান অ্যালিসিন নামক যৌগ কিডনির শিথিলতা, মানসিক চাপ ও রক্তচাপ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জ্ঞান পিপাসুর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url