ভাজা ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা
পুষ্টিগুনে ভরপুর ছোলা, এই ছোলা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুবই কম আছে। এটি খেতে অনেক সুস্বাদু এটি মানুষ নাস্তা হিসেবেও বেছে নেন অনেকে। ছোলা ভাজা আমাদের অনেকেরই স্কুল জীবনে টিফিনের সময় কিনে খাওয়ার অনেক স্মৃতি আছে। আবার দৈনন্দিন জীবনে বন্ধুদের আড্ডায় অথবা পারিবারিক আড্ডায় ভাজা ছোলা খাওয়া হয়ে থাকে।
আমাদের আড্ডার বা ভ্রমণের সময়টাকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে এই ছোলা ভাজা। এই বহুল ব্যবহৃত খাবার ছোলা ভাজা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে এবং পাশাপাশি কিছু সতর্কতা অর্থাৎ বেশি খেলে কিছু ক্ষতি রয়েছে যা আমাদের অনেকেরই অজানা চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিতঃ
পোস্ট সূচিপত্রঃ ভাজা ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা
১. ওজন কমাতে অধিক কার্যকরী
ভাজা ছোলা ওজন কমাতে সহায়তা করে। কারন এতে বিদ্যমান উচ্চামাত্রার ফাইবার যা আমাদের পেট দীর্ঘ সময়ের জন্য ভরা থাকে। এতে অল্প পরিমাণে ক্যালোরি থাকে তাই অতিরিক্ত ক্যালোরির বিষয়ে চিন্তা করে হয় না। তাই তেলে ডুবানো ভাজা ছোলা খেয়ে বাদ দিয়ে ভাজা ছোলা খাওয়া অধিক উপকারি।
ভাজা ছোলা হজমে অধিক সহায়ক কারণ এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে। আপনার ডায়েটে থাকা এই ভাজা ছোলাতে থাকা ফাইবার আপনার হজমকে ধীর করে দিতে পারে, যা দীর্ঘ সময়ের জন্যে আপনার পেট ভরা রাখে। এটি ক্ষুধা দমনকারী হিসেবে কাজ করে এবং আমাদের অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা নিয়ন্ত্রিত রাখে।
২. প্রোটিন ও ফাইবারের ঘাটতি পুরনে সহায়ক
ছোলা ভাজা আমাদের শরীরের প্রোটিন ও ফাইবার এই দুই ঘাটতি পুরনে সহয়তা করে। এক গ্রাম ভাজা ছোলার মধ্যে প্রায় ১৯ থেকে ২০ গ্রাম ফাইবার ও প্রোটিন থাকে। ছোলা ভাজা খাওয়ার ফলে আমাদের পেট দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখে ফলে দীর্ঘক্ষন ক্ষুধা লাগেনা। এছাড়াও এটি আমাদের শরীরের শক্তির মাত্রা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
৩. হাড়ের গঠন ও ক্ষয় রোধে সহায়ক
ছোলা ভাজা হাড়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধু মাত্র প্রোটিন ও ফাইবারের একটি বড় উৎস, ক্যালসিয়ামেরও বড় একটি উৎস। ছোলা ভাজা হাড় শক্তিশালী করে। আমাদের শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম না থাকে, তাহলে বৃদ্ধ বয়সের আগেই হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আপনার দৈনিক খাদ্য তালিকায় ছোলা ভাজা যুক্ত করুন। এতে করে আপনার হাড়ের নানান ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
৪. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অধিক সহায়ক
ডায়াবেটিস রোগীরাও অনায়াসে কোনো চিন্তা ছাড়াই ছোলা ভাজা খেতে পারবেন। ছোলা ভাজা খাওয়ার ফলে গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে যা অনেক উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীরা এই ছোলা ভাজা খাওয়ার ফলে রক্ত শর্করার মাত্রার হঠাৎ উঠা নামা করবেনা। আমাদের শরীরে বিদ্যমান উচ্চ ফাইবার উপাদান ও গ্লুকোজের ধীর নিঃসরনে সহায়তা করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রত রাখে।
জ্ঞান পিপাসুর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url