কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত? আজকে আমরা এ সম্পর্কে জানবো। আমরা সকলেই জানি মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে কাতার হচ্ছে অন্যতম এছাড়াও অর্থনৈতিক ও সুন্দর জীবন যাপনের জন্য কাতার অনেক বেশি সমৃদ্ধ একটি দেশ। কাতার মূলত প্রত্যেক বছরই হাজার হাজার শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে আমাদের দেশ থেকেও অনেক অনেক শ্রমিক কাতারের ভিসা নিয়ে কাতারে যাচ্ছে কাজ করার জন্য।
কুয়েতের পুরো নাম নাওহান স্টেট অফ কুয়েত যা ইংরেজিতে Kuwait নামে পরিচিত। যদি জানতে চান কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কেমন পাওয়া যায় তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন আজকে চলুন জেনে নেয়া যাক এ সম্পর্কে বিস্তারিত।
পোস্ট সূচিপত্র কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
- কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত ?
- কুয়েতে ড্রাইভার এর বেতন কত?
- কুয়েতে কোম্পানি ড্রাইভার বেতন কত?
- কুয়েতের ড্রাইভিং ভিসা কিভাবে পাওয়া যাবে?
- কুয়েতের ভিসার দাম কত?
- কুয়েতে কোন কাজে চাহিদা বেশি?
- কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা সুযোগ সুবিধা
- শেষ কথাঃ কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
কুয়েতে ড্রাইভার এর বেতন কত
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কুয়েতের দিনারের দাম অনেক বেশি কুয়েতের ড্রাইভিং এর জন্য সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। কুয়েতের ড্রাইভিং ভিসাতে গেলে প্রতিমাসে প্রায় দেড়শ থেকে ২০০ বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫৯ হাজার থেকে ৭৯ হাজার টাকা। অন্যান্য দেশে এত বেশি বেতন পাওয়া যায় না সেজন্য বিভিন্ন দেশ থেকে লোকজন ড্রাইভিং ভিসাতে আসে কুয়েতে।
তাই আপনি যদি একজন দক্ষ ড্রাইভার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কুয়েতে গেলে প্রায় বাংলাদেশি টাকায় ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মত বেতন পেতে পারেন। তবে বিভিন্ন কোম্পানি বা মালিকানাধীন ড্রাইভিং করলে বেতন একটু কম বেশি হতে পারে। এর পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার দক্ষতার উপর এবং আপনার সেখানকার কাজের মানের উপর।
কুয়েতে কোম্পানি ড্রাইভার এর বেতন কত
কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানি প্রতিবছর হাজার হাজার শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে ড্রাইভিং ভিসায়। তাদের কোম্পানির গাড়ি চালানোর জন্য অনেক ড্রাইভার প্রয়োজন হয়ে থাকে। কুয়েতে কোম্পানির গাড়ি চালালে ১৩০ থেকে ১৮০ দিনার বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যা আমাদের বাংলাদেশী টাকায় ৫১ হাজার থেকে ৭১ হাজার। এটা পুরোটাই আপনি দক্ষতার উপর এবং আপনার কোম্পানির উপর নির্ভর করবে। এখানে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে যদি আপনি গাড়ি ভাড়ায় চালান তাহলে আপনি যত পরিশ্রম করবেন তত ইনকাম।
কুয়েতে অফিস ড্রাইভিং এর বেতন ও এরকম ভালো মানের হয়ে থাকে। কুয়েতে কোম্পানির ভিসায় গেলে অনেক রকম সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় অনেক সময় আপনার থাকা খাওয়ার দায়িত্ব কোম্পানি নিয়ে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে আপনার বেতন কিছুটা কম হবে। তবে এতে আপনারই ভালো কারণ প্রবাসে আপনার খরচ কম হবে। কুয়েতে অনেকদিন যাবত এক কোম্পানিতে চাকরি করলে আপনার বেতন বৃদ্ধি করা হয়।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা
প্রথম অবস্থাতে বেতন ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা হয়ে থাকবে পরবর্তীতে এটি আপনার দক্ষতা বুঝিয়ে বৃদ্ধি করা হবে। তাই কুয়েতে কোম্পানি ড্রাইভিং ভিসা এটি আপনার জন্য একটি ভালো সুযোগ, যদি আপনি ড্রাইভিং ভিসাতে যেতে চান। পরবর্তীতে আপনার বেতন ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা হবে।
কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা কিভাবে পাওয়া যাবে
কুয়েতে যেহেতু বেতন অনেক ভালো ড্রাইভারদের জন্য অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেহেতু এটি আপনাদের জন্য একটি বড় ধরনের সুযোগ আপনি চাইলে কুয়েতের ড্রাইভিং ভিসায় যেতে পারেন তবে একটা প্রশ্ন থাকে যে এই ড্রাইভিং ভিসা পাবো কিভাবে চলুন জানি সে বিষয়টা। আপনি যদি কুয়েতে ডাবিং ভিসা যেতে চান তাহলে আপনাকে প্রয়োজনে কিছু কাগজপত্র সহ কুয়েত ভিসা এজেন্সি যোগাযোগ করতে হবে। আর যদি আপনার কোন আত্মীয়স্বজন কুয়েতের থেকে তাকে তাহলে তার সাথে যোগাযোগ করেও আপনি বিচার আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়াও অনলাইনে ড্রাইভিং ভিসার জন্য আবেদন করা যায় এজন্য আপনাকে কোন ব্রাউজারে গিয়ে লিখতে হবে https://kuwait.mofa.gov.bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে তারা যে তথ্যগুলো চাচ্ছে সেগুলো দিয়ে আপনাকে আবেদন করলে সম্পন্ন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ লুডু গেম খেলে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশে
কুয়েতের ভিসার দাম কত
উপরে আমরা বর্ণনা করেছি কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত? এবারে আমরা জানবো কুয়েতের ভিসার দাম কত? আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না কুয়েতের ভিসার দাম কত এজন্যেই আপনাদের থেকে অনেক দালালরা অনেক অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চলুন আপনাদেরকে এবার আমরা জানাই যে কুয়েতের ভিসার দাম কত? কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায় যেমন স্টুডেন্ট ভিসা টুরিস্ট ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ড্রাইভিং ভিসা এ সকল ধরনের ভিসা পাওয়া যায় কিন্তু আমরা জানিনা এ বিষয়ে করতে কত টাকা লাগে।
- স্টুডেন্ট ভিসা- বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট পড়াশোনা করার জন্য যারা কুয়েতে যায় তাদের যেতে বিমান ভাড়া সহ আনুষাঙ্গিক সকল খরচসহ ২ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়।
- টুরিস্ট ভিসা- প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক টুরিস্ট কুয়েতে ঘুরতে চায় তাদের বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিচায় যেতে প্রায় এক থেকে ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে।
- ওয়ার্ড পারমিট ভিসা- ওয়ার্ক পারমিট ভি সাকিব বাংলাদেশ থেকে যে সকল ওয়ার্কার্স বিদেশে কাজ করার জন্য যায় তাদের কে তাদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন হয় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করার জন্য 6 থেকে 8 লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে।
- ড্রাইভিং ভিসা- বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যে সকল ড্রাইভার ড্রাইভিং ভিসা যায় তাদেরকে ড্রাইভিং ভিসা করতে প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
কুয়েতের অনেক ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকলেও তাদেরকে কয়েকটা সেক্টরে ভাগ করে নেয়া হয়েছে যারা ড্রাইভিং করার জন্য যায় তাদেরকে ড্রাইভিং ভিসায় যেতে হয়। আরো যেগুলা কাজ রয়েছে সকল কাজ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অন্তর্গত। ড্রাইভিং ভিসা করতে একটু বেশি খরচ হয় সেজন্য সকলেই এ ড্রাইভিং ভিসায় যেতে পারে না তাদের আর্থিক সমস্যার কারণে বা তাদের ড্রাইভিং এর অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে।
এজন্য যাদের ড্রাইভিং এর অভিজ্ঞতা নেই প্রথম অবস্থায় যারা যাচ্ছে তারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে যায় ভিসার অন্তর্গত কাজ গুলো যেমন ইলেকট্রিশিয়ান আইটি সেক্টর হোটেল রেস্টুরেন্ট নির্মাণ শ্রমিক ক্লিনার ইত্যাদি।
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা সুযোগ-সুবিধা
কুয়েত একটি ছোট দেশ হলেও মধ্যপ্রাচীর অন্যতম একটি রাষ্ট্র। প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন এসআই কুয়েত এ আছে তার মধ্যে অন্যতম কাজ হলো ড্রাইভিং। কুয়েতাদের আইন নিয়ম শৃঙ্খলা গুলোতে অনেক শ্রদ্ধাশীল। কুয়েতে আইন কানুন অনেক ভালো হওয়ায় তাদের সহিংসতার মতো ঘটনা ঘটার কোন সম্ভাবনা নেই। কুয়েতে ড্রাইভিং রেসার অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে কুয়েত হচ্ছে এশিয়ার একটি দেশ যেখানে মানুষ ড্রাইভিং ভিসার জন্য প্রতিনিয়ত আবেদন করে।
কুয়েতে টাইপিং হয়ে যেতে এত বেশি আবেদন করার কারণ হচ্ছে এখানে ড্রাইভিং স্যার অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। কুয়েতের ড্রাইভিং ভিসার অন্যতম সুযোগ-সুবিধা হচ্ছে বেতন ভালো পাওয়া। এছাড়াও কোন কোম্পানির আওতাধীন থাকলে কোম্পানি তাদের ঢাকা খাওয়ার ব্যয়ভার বহন করে থাকে। এতে করে তার টাকাগুলো গচ্ছিত থেকে যায়।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
শেষ কথাঃ কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
উপরে আমরা আলোচনা করেছি কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত। আশা করি আপনারা সেগুলো পড়ে অনেকটাই বুঝতে পেরেছেন যে কুয়েতের ড্রাইভিং এর সুযোগ সুবিধা অনেক ভালো কারণ তাদের দেশের টাকার মান বেশি এছাড়াও অনেক সময় কোম্পানির আন্ডারে গেলে বা মালিকানাধীন লোকের গাড়ি চালালে তারা ড্রাইভারের থাকা খাওয়ার খরচ বহন করে থাকে এতে করে টাকা সঞ্চয় করা সুবিধা হয়।
এছাড়াও অন্যতম কারণ হচ্ছে ড্রাইভিং একটি আরাম-আয়েশের কাজ। তাই বলা যায় যে কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা একটি অন্যতম ভালো কাজ তাই আপনাদের যাদের ড্রাইভিং এর অভিজ্ঞতা আছে তারা চাইলে কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসায় যেতে পারেন পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ
জ্ঞান পিপাসুর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url