বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের ১০ টি শারীরিক পরিবর্তন
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তন সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো। এছাড়াও জানাবো ছেলেদের বয়ঃসন্ধিকাল কখন শেষ হয়। একটি শিশু জন্মগ্রহণের পর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত জীবনে অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করে থাকে।
তার মধ্যে সর্বশেষ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো বয়সন্ধিকাল। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে মেয়েদের অনেক ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। এই বয়সন্ধিকাল সম্পর্কে মেয়েদের অনেক আলোচনা করা হয়ে থাকে কিন্তু ছেলেদের বিষয়ে তেমন কোন আলোচনা করা হয় না। চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত
পোস্ট সূচিপত্রঃ বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তন
- বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের যেসব শারীরিক পরিবর্তন
- বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক যেসব পরিবর্তন ঘটে থাকে
- বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের মানসিক যেসব পরিবর্তন ঘটে থাকে
- বয়ঃসন্ধিকালে সামাজিক যেসব পরিবর্তন ঘটে থাকে
- বয়ঃসন্ধিকালে আচরণগত যেসব পরিবর্তন হয়ে থাকে
- বয়ঃসন্ধিকালে যেসব পুষ্টিকর খাবার খাবেন
- সন্তানের বয়ঃসন্ধিকালে পরিবারের ভূমিকা
- সন্তানের মতামতকে সম্মান করা
- সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা
- শেষকথাঃ বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তন
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তন
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তন, চলুন শুরুতেই জেনে নিই বয়ঃসন্ধিকাল কি? জীবনের যে সময়টাতে একটি শিশুর শারীরিক মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তন হয়ে থাকে এবং কৈশোরে থেকে যৌবনে পদার্পণ করে থাকে সেই সময়টাকেই বয়সন্ধিকাল বলা হয়। WHO ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে ১০ থেকে ১৯ বছরের মাঝামাঝি সময়টাকে কৈশোর বলা হয়। এই কৈশোরের মাঝামাঝি যেকোনো সময়েই ছেলে-মেয়েদের বয়সন্ধি ঘটতে পারে।
ছেলেদের বয়সন্ধিকাল একটু দেরিতে হয় এবং মেয়েদের টা আগেই হয়। সাধারণত ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়সন্ধিকাল আসে ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়সন্ধিকাল আছে ১০ থেকে ১৩ বছরের মধ্যেই। এছাড়াও বয়সন্ধিকাল আসতে একটু তারতম্য হতে পারে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে যেমন খাদ্যাভ্যাস, দেশ, জলবায়ু, পরিবেশ ও সংস্কৃতি ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে।
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক যেসব পরিবর্তন ঘটে থাকে
বয়ঃসন্ধিকালের সময়টাকে যৌগিক গাঠনিক পর্যায় বলা হয়ে থাকে কারণ এ সময় খেলে মেয়ে বিভিন্ন পরিবর্তন এর মাধ্যমে কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণ করে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। এই বয়"সন্ধিকালের এই সময়টাতে পরিবারের সদস্যদের সচেতন হওয়া উচিত। এ সময় ছেলেদের অনেক ধরনের পরিবর্তন হয়ে থাকে তার মধ্যে একটি হলো শারীরিক পরিবর্তন। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে মেয়ে উভয়েরই কোন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায়। ছেলেদের কি কি শারীরিক পরিবর্তন ঘটে
(১) বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের দ্রুত শরীরের উচ্চতা বৃদ্ধি পায় (২) শারীরিক উচ্চতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধি পায়। (৩) পেশি শক্ত হয় (৪) পেশির গঠন সুন্দর হয়। (৫) কাঁধ চওড়া হয় (৬) বুক চওড়া হয় (৭) দাড়ি গোঁফ ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লোম গজায়। (৮) ছেলেদের গলার স্বর অনেকটা ভারী হয়। (৯) মাঝে মাঝে স্বপ্নদোষ হয় অর্থাৎ ঘুমের ঘরে বীর্যপাত ঘটে থাকে। এগুলো হলো ছেলেদের বয়ঃসন্ধিকালে ঘটে থাকা কিছু মৌলিক পরিবর্তন।
বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক যেসব পরিবর্তন ঘটে থাকে
বয়সন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তন এর পাশাপাশি মানসিক পরিবর্তন ও হয়ে থাকে। ।হরমোনের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনের কারণে এ সময় ছেলে এবং মেয়েদের বেশ কিছু মানসিক পরিবর্তন হয়। টেস্টোস্টেরন হরমনের পরিবর্তন এর কারণে ছেলেদের মানসিক বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এসব মানসিক পরিবর্তনের ফলে ছেলেরা ভালো অথবা খারাপ পথে চলে যায়। ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই পরিবর্তনগুলো প্রায় একই। চলুন এবার ধাপে ধাপে জেনে নেই কি কি মানসিক পরিবর্তন ঘটে থাকে।
(১) অন্যের উপর নির্ভর না করে নিজে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠে। (২) এ সময় তারা আবেগ দ্বারা পরিচালিত হয়। (৩) একে অপরে বিপরীত লিঙ্গের উপর আকর্ষণ অনুভব করে থাকে। (৪) নিজের প্রতি বিপরীত লিঙ্গের আকর্ষণ বা আগ্রহ লাভের ইচ্ছা পোষণ করে থাকে। (৫) এ সময় ছেলেমেয়েদের মুড সুইং হয় অর্থাৎ একেক সময় একেক মন মানসিকতা সৃষ্টি হয়। (৬) এছাড়াও ছেলে মেয়ে উভয়ই মানসিক পরিপূর্ণতা অর্থাৎ সকল বিষয়ে বোঝার ক্ষমতা লাভ করে।
বয়ঃসন্ধিকালে সামাজিক যেসব পরিবর্তন ঘটে থাকে
বয়সন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তন এর পাশাপাশি সমাজের সাথে চলাফেরার সময় বয়সন্ধিকালীন ছেলেমেয়েদের অনেক ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। (১) বয়সন্ধিকালীন সময়ে ছেলেমেয়েরা তাদের পরিবারের সাথে সময় কাটানোর থেকে বন্ধুদের সাথে সময় বেশি কাটাই। অর্থাৎ পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পর্কের একটি পরিবর্তন ঘটে থাকে এই বয়সন্ধিকালীন সময়ে। আপনারা এ সময় নিজেদের স্বাধীনতা চাই এবং পরিবারের থেকে কিছুটা দূরে থাকার জন্য চেষ্টা করে।
(২) বয়সন্ধিকালীন সময়ে ছেলেমেয়েদের বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরার আড্ডা দেয়ার প্রভাব অনেক বেশি থাকে। এ সময় বন্ধুরাই তাদের সামাজিক আচরণ এবং চিন্তাধারার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একে অন্যের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আদান-প্রদান বৃদ্ধি করে এবং সমবেদনা বৃদ্ধি পায়। (৩) বয়সন্ধিকালীন সময়ে ছেলেমেয়েরা কাজের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। সামাজিক কার্যকলাপে নিজের একটি ভূমিকা রাখতে চাই।
(৪) এ সময় ছেলেরা তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্ক গুলো বৃদ্ধি করে। এটি তাদেরকে দায়িত্ব ও প্রাধান্য হিসেবে তৈরি করে। যে তাদেরকে শিক্ষাগতভাবে আরো সক্রিয় করে তোলে। (৫) এসময় ছেলেমেয়েরা প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর জন্য চেষ্টা করে। (৬) এ সময় ছেলে মেয়েরা তাদের নিজেদেরকে সামাজিক বিভিন্ন ধরনের কাজে নিয়োজিত করতে চাই, নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে চাই। সমাজ তাদের মতামত প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।
বয়ঃসন্ধিকালে আচরণগত যেসব পরিবর্তন ঘটে
বয়সন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তন এর পাশাপাশি অনেক ধরনের আচরণগত পরিবর্তন আমরা দেখতে পাই এসব পরিবর্তন দেখে যেকোনো কেউ ধারণা করতে পারে যে তাদের বয়সন্ধিকাল শুরু হয়েছে কি হয়নি। চলুন জেনে নিই পরিবর্তনগুলো। (১) এ সময় ছেলে মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো আচরণ করতে শুরু করে। অর্থাৎ তারা নিজেদের স্বাধীনতা চাই (২) নিজের মত এবং সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করে। অর্থাৎ এ সময় তারা চাই যে তাদের সিদ্ধান্তের একটি গুরুত্ব দিক লোকজন।
(৩) বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পা বাড়ায়। অভাবে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে থাকে, যা কখনো কখনো বিপদজনক আচরণে রূপ নিতে পারে। (৪) নিজের পরিচয় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। অর্থাৎ তারা সামাজিকভাবে এর পরিচিতি নিজের ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলতে চাই। (৫) নিজের কাজকর্মে পুরনো স্বাধীনতা পেতে স্বাচ্ছন্ন বোধ করে। অর্থাৎ তারা সমাজের ন্যায্যতা অধিকার ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। নিজেদের মত প্রকাশ করতে চাই। (৬) নতুন বিষয়ের প্রতি তাদের আগ্রহ জন্মায়।
বয়ঃসন্ধিকালে যেসব পুষ্টিকর খাবার খাবেন
বয়সন্ধিকালীন সময়ে ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। কারণ এই সময় তাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের হরমোনে পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে অনেক সময় ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই তাদের এই কার্যক্রমকে অবিরত রাখতে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত। তাদের শারীরিক দৈহিক মানসিক বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন ঘটে থাকে এজন্য তাদের প্রয়োজন অনেক পুষ্টিকর খাবার চলুন জেনে নেয়া যাক কি কি খাবার খাবেন
নিয়মিত খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের প্রোটিনের ক্যালসিয়াম আয়রন কার্বোহাইড্রেট জিংক ইত্যাদি ধরনের খাবার রাখা উচিত। যেমন শাকসবজি ফলমূল মাছ মাংস ডিম দুধ ইত্যাদি অবশ্যই আপনাকে নিয়মিতভাবে আপনার দৈনিক খাবারের তালিকায় নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে আপনার শরীরে কোন ধরনের পুষ্টির ঘাটতি হবে না এতে করে আপনার শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধিতে কোন ধরনের প্রতিরোধ বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না।
সন্তানের বয়ঃসন্ধিকালে পরিবারের ভূমিকা
UNICEF এর তথ্য মতে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা এক পঞ্চমাংশের বেশি ছেলে মেয়ে তাদের সময়টা অবহেলার মধ্যে দিয়ে পার করে। আমাদের পরিবারের থেকে কোন ধরনের সাপোর্ট পায় না, যা কাম্য নয়। এই অবহেলার কারণে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয় বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে থাকা ছেলেমেয়েগুলো। এই অবহেলার মূল কারণ হচ্ছে স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষার অভাব। বয়সন্ধিকালীন এই সময়টা যেহেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় সেহেতু পরিবারের পক্ষ থেকে এটি খুব গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত।
বয়সন্ধিকালীন এই সময়টাতে তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে একজন বয়সন্ধিকালীন সময়ে থাকা ছেলে মেয়েগুলো সাপোর্ট আশা করে যা তার পরিবার অনেক সময় দেয় না। তাই পরিবারের সদস্যদের উচিত নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন ভাবে এর দায়িত্বটা পালন করা। এ সময় যদি তাদেরকে অবহেলা করা হয় তাহলে তারা ভুল পথে পরিচালিত হয়ে নিজের ভবিষ্যৎটা নষ্ট করে দিতে পারে।
সন্তানের মতামতকে সম্মান করা
বয়সন্ধিকালীন সময় থাকা ছেলে মেয়েদের মতামতকে অবশ্যই তার পরিবারের সদস্যদের অনেক গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত এবং সম্মান করা উচিত। বয়সন্ধিকালীন এই সময়ে ছেলেমেয়েরা নিজেদের মতামতকে প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করে থাকে। তাই যদি পরিবারের সদস্যরা তারই মতামত কি কোন গুরুত্ব না দেয় তাহলে তারা মানসিকভাবে বা স্বাস্থ্যগতভাবে ভেঙে পড়ে। তাই অবশ্যই বারবার সদস্যদের উচিত এ সময় তাদেরকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেয়া।
এবং তারা যদি কোন ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে সে সিদ্ধান্তের বিষয়ে তাদেরকে অবগত করা যে তারা ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এসময় ছেলেমেয়েদের সাথে সংকোচ কথা বলতে হবে ঘনিষ্ঠ হতে হবে। এছাড়া তারা কথা বলতে কোন মতামত প্রকাশ করতে সংকোচ বোধ করবে। তারা যদি সংকোচ বোধ না করে সেজন্যে অবশ্যই যাদের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে হবে তাদের সিদ্ধান্ত মতামত তাদের সাথে শেয়ার করতে পারে।
সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা
সময়ে তার পরিবারের সদস্যদের উচিত অবশ্য তার সন্তানের মানসিক দিকে খেয়াল রাখা। এ সময় ছেলেমেয়েদের অনেক ধরনের মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন তারা খিটখিটে মেজাজের হয়ে যাচ্ছে। এরকম বুঝতে পারলে আপনাদেরকে তাদের সাথে সময় দিতে হবে তাদের মানসিক পরিবর্তণ গুলো বোঝার জন্য। বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলে মেয়েগুলো বন্ধুদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে ভুল পথে যাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
যদি আপনারা কোন নেতিবাচক খেয়াল করেন তাহলে অবশ্যই তাদেরকে এ বিষয়ে বুঝিয়ে বলবেন। এ সময় তাদের সাথে কোন খারাপ আচরণ করা যাবে না। তাদেরকে বুঝিয়ে বলতে হবে তাদের কে সঠিক ও ভুলের পার্থক্য করে দিতে হবে। তাহলে দেখবেন তারা সঠিক পথে পরিচালিত হবে। তাই উপরের সারসংক্ষেপ থেকে বলা যায় যে অবশ্যই সন্তান মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শেষকথাঃ বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তন
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। মূল সারসংক্ষেপ হলো যে সময় ছেলেদের হরমোনের পরিবর্তনের কারণে তাদের শারীরিক ও মানসিক অনেক ধরনের পরিবর্তন ঘটে থাকে। তাদের সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন দেখে বুঝতে হবে যে বয়সন্ধিকাল শুরু হয়েছে। এ বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত। পরিবারের সদস্যরা অবশ্যই সন্তানের শারীরিক মানসিক দিকে খেয়াল রাখবেন।
তবেই আপনার সন্তান সুস্থ সুন্দরভাবে এই বয়সন্ধিকালীন এই সময়টা পার করতে পারবে। এ সময়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এ সময় তাদের অনেক ধরনের হরমোনের পরিবর্তন হয়। যার ফলে তাদের অনেক পুষ্টির প্রয়োজন তার অবশ্যই নিয়মিত দৈনিক খাবারে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত। তাহলে মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তনগুলো সুস্থ ও সুন্দরভাবে পার করা সম্ভব হবে। অবশ্যই আপনারা উপরের কথাগুলো মেনে চলবেন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জ্ঞান পিপাসুর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url