গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরের অনেক হরমোন জনিত অনেক পরিবর্তন ঘটে। এ সময়ে মায়েদের শরীরে সঠিক পুষ্টি ও জলীয় শোষণ ঠিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক মায়েরা চিন্তা করেন যে বাচ্চা ফর্সা হয় কি খেলে? এটিরও সমাধান রয়েছে এই ডাবের পানিতে।
গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোনের পরিবর্তন হওয়ার কারণেই তাদের মুড সুইং, হজমের সমস্যা ও উচ্চ রক্তচাপের মত বড় ধরনের সমস্যা কে প্রতিরোধ করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত
পোস্ট সূচীপত্রঃ গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা
- শরীরকে চাঙ্গা রাখতে ডাবের পানি
- ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে জাদুকরী সমাধান
- ক্লান্তি দূর করতে ও হজমের উন্নতিতে সেরা বন্ধু
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর গোপন হাতিয়ার
- ইউরিন ইনফেকশন দূর করার প্রাকৃতিক সমাধান
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে গোপন রহস্য
- বমি ভাব কমানো ও শিশুর স্বাস্থ্যকর বিকাশের ম্যাজিক্যাল পানীয়
- ডাবের পানি পানের সেরা সময় ও সতর্কতা
- শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা, গর্ভাবস্থা মায়েদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে শরীরের অপুষ্টি জনিত সমস্যা, মুড সুইং, স্ট্রেস সহ আরো অনেক ধরনের সমস্যা হয়। এজন্যই মেয়েদের জন্য গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় শরীরে যেন শরীরে পানির স্বল্পতা দেখা না দেয়, সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে জানা যায় যে, ডাবে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরাইড,
ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন সি বিদ্যমান
থাকে। এছাড়াও এতে বিদ্যমান থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। যা গর্ভাবস্থায়
মায়ের জন্য ভীষণ উপকারী একটি পানীয়। বিশেষ করে ফার্স্ট টাইমস্টারে অর্থাৎ ১
থেকে ৩ মাসে ডাবের পানিও মায়েদের শরীরের দুর্বলতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডিহাইড্রেশন,
মুড সুইং এসব থেকে রক্ষা করে। ডাবের পানি এমন এক প্রাকৃতিক পানীয় যা
গর্ভাবস্থায় অনেক উপকারী।
শরীরকে চাঙ্গা রাখতে ডাবের পানি
ডাবের পানিতে বিদ্যমান থাকে প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট। এতে পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম সোডিয়াম ক্যালসিয়াম বিদ্যমান থাকে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী, এটি গর্ভবতী মায়েদের শরীরের ইলেকট্রোলাইট এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অনেকের দেখা যায় গর্ভাবস্থায় পানি শূন্যতা সৃষ্টি হয়, তাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় পানিশূন্যতা দূর করতে এবং শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে অত্যন্ত জরুরী এই ডাবের পানি।
আরো পড়ুনঃ শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার ১০ টি উপায়
এছাড়াও অনেক সময় গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে সুগার লেভেলটা বেড়ে যায় থাক থাক ডাইবেটিস এর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাদের ক্ষেত্রে এই ডাবের পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাহলে শরীরের পানি শূন্যতার সৃষ্টি হবে না এবং শরীরে ইলেকট্রোলাইট এর মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখবে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় দেখা দেওয়া শরীরের নানান ধরনের জটিল সমস্যা সমাধান করবে এই ডাবের পানি।
ডিহাইড্রশন প্রতিরোধে জাদুকরী সমাধান
ডিহাইড্রেশন একটি বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। ডিহাইড্রেশন কি? এটা হয়তো আমরা সকলেই জানি। শরীরে পানি শূন্যতা অর্থাৎ পানির ঘাটতি দেখা দেওয়া কে ডাক্তারি ভাষায় ডিহাইড্রেশন বলা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় ডিহাইড্রেশন সন্তান ও মা উভয়ের জন্য ঠিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। অনেকেই খুবই অল্প পরিমাণে পানি পান করে থাকেন যার ফলে গর্ভাবস্থায় ডিহাইড্রেশন এর সমস্যা দেখা দেয়। ডাবের পানি মায়ের শরীরের তরল পদার্থের সকল ধরনের ঘাটতি পূরণ করতে অত্যন্ত সাহায্যকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এছাড়াও ডাবের পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডাবের পানি পানি ফলে শরীর ঠান্ডা থাকে। ডিহাইড্রেশন হলে কিভাবে বুঝবেন? ডিহাইড্রেশন হওয়ার ফলে হৃদস্পন্দন, মাথা ব্যথা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, ইমিউনিটিক ফ্লুইড এর মাত্রা কমে যাওয়া এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় ডিহাইড্রেশন এর মত ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বা প্রতিরোধ করতে ডাবের পানি খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটিকে কোনভাবেই অবহেলা করা যাবে না।
ক্লান্তি দূর করতে ও হজমের উন্নতিতে সেরা বন্ধু
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা নিয়ে গবেষণা করে দেখা গেছে যে, ডাবের পানি ক্লান্তি দূর করতে এবং হজমের সমস্যার সমাধান করতে অনেক সাহায্য করে। ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ খুবই অল্প থাকে যা মায়েদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী ভূমিকা পালন করে। ডাবের পানি মায়েদের ক্লান্তি দূর করতে এবং দিনভর সকল কার্যক্রমে সতেজ মনোভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই অবশ্যই ক্লান্তি দূর করার জন্য এটি পান করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ পুরুষদের জন্যে আদার খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা জেনে নিন
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় মায়েদের হজমের সমস্যা দেখা দেয়, যা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় আজব জনিত সমস্যা দেখা দেওয়া এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়। ডাবের পানিতে ফাইবার থাকে যা মায়েদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই অবশ্যই গর্ভাবস্থায় দিনভর সতেজ থাকতে এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অবশ্যই নিঃসন্দেহে এটি পান করতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর গোপন হাতিয়ার
গর্ভাবস্থায় শরীরের হরমোন পরিবর্তনের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক অংশে কমে যায়। যা থেকে বাঁচতে গর্ভাবস্থায় মাঝে মাঝেই পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাবের পানিতে থাকে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা গর্ভবতী মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এটি সকল ধরনের রোগ ও সংক্রামক প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।
গর্ভাবস্থা ডাবের পানির উপকারিতা, সম্পর্কে আরও জানা যায় যে যদি ডাবের পানি নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশ এবং শারীরিক বিকাশ খুব ভালো হয়। তাই অবশ্যই গর্ভাবস্থায় মায়েদের ডাবের পানি খাওয়া খুবই জরুরী। ডাবের পানিতে বিদ্যমান থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আগের তুলনায় অনেক অনেক গুনে বৃদ্ধি করে। তাই অবশ্যই একজন গর্ভবতী মায়ের এই ডাবের পানি খাওয়া উচিত।
ইউরিন ইনফেকশন দূর করার প্রাকৃতিক সমাধান
গর্ভাবস্থায় অনেক ইউরিন ইনফেকশন এর সমস্যা দেখা দেয়। এই ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যা কে দূরে ঠেলে দিতে অর্থাৎ প্রতিরোধক এবং প্রতিষেধক হিসেবে গর্ভবতী মায়েরা এটি পান করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন একটি সাধারণ সমস্যা বলা চলে, কারণ এটি গর্ভবতী মেয়েদের অহরহ হয়ে থাকে। ডাবের পানি প্রাকৃতিক ডিউরেটিক হিসেবে কাজ করে থাকে। যা সংক্রমনের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
তাই গর্ভাবস্থায় এ ধরনের সমস্যাকে এড়িয়ে চলতে বা সমস্যার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এই ডাবের পানি। এটি নানান ধরনের জটিল কঠিন রোগের সমাধান করে থাকে। গর্ভবতী মায়েরা নিরাপদ থাকতে গর্ভাবস্থায় ইউরিন এর ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেওয়ার আগে থেকে এটি খেতে পারেন তাহলে আর ইউরিন এর ইনফেকশনের সমস্যা মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে গোপন রহস্য
গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলাদেরই উচ্চ রক্তচাপ এর সমস্যা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় এ সমস্যাটি একটি গুরুতর সমস্যায় পরিণত হতে পারে। ডাবের পানিতে বিদ্যমান থাকে পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি শরীরের প্রবাহমান রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখে। যার ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় না। তাই অবশ্যই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য গর্ভাবস্থায় মায়েদের ডাবের পানি খাওয়া উচিত।
ডাবের পানিতে বিদ্যমান থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে, অর্থাৎ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। গর্ভাবস্থায় ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যায়, এই ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে ডাবের পানি সাহায্য করে। ত্বকের শুষ্কতা ও র্যাশ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও এই ডাবের পানি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় খুব দ্রুত ত্বকে শুষ্কতা দেখা দেয় এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ডাবের পানি ব্যবহার করুন। ডাবের পানি উচ্চ রক্তচাপ ও ত্বকের উচ্চতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকরী।
বমি ভাব কমানো ও শিশুর স্বাস্থ্যকর বিকাশের ম্যাজিক্যাল পানীয়
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে আরো জানা যায় যে, গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে মায়েদের বমির সমস্যা দেখা দেয়। এটি অনেক বেশি এবং অনেকের ক্ষেত্রে এটি অনেক কম হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে বমি করে ব্যবহার হওয়ার কারণে মর্নিং সিকনেস দেখা দেয়, চান গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই অস্বস্তিকর। ডাবের পানি বমি ভাব কমানো এবং মর্নিং সিকনেস সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এছাড়াও ডাবের পানিতে থাকা এনজাইম ও মিনারেল পেটে শান্তি বয়ে আনে।
আরো পড়ুনঃ সিদ্ধ ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা
ডাবের পানিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন মিনারেল শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অত্যন্ত সাহায্যকারী একটি উপাদান। এটি গর্ভে থাকা শিশুর হাড়, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের গঠন প্রক্রিয়াকে অনেক শক্তিশালী করে তোলে। গর্ভাবস্থায়ী হলো শিশুর মানসিক বিকাশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময়। বমি ভাব দূর করতে এবং শিশু শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটাতে অবশ্যই গর্ভবতী মায়েদের ডাবের পানি পান করা উচিত।
ডাবের পানি পানের সেরা সময় ও সতর্কতা
ডাবের পানি পান করার সবচেয়ে সেরা অর্থাৎ সঠিক সময় হলো সকালে খালি পেটে পান করা। এই সময়টিতে দ্রুত হজম হয় এবং আমাদের শরীর সর্বাধিক পুষ্টি শোষণ করতে পারে। তবে অবশ্যই গর্ভবতী মায়েদের অতিরিক্ত পরিমাণের ডাবের পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত পানি পান করলে সোডিয়াম এর মাত্রা বিঘ্নিত হতে পারে। তাই অবশ্যই এটি অতিরিক্ত পরিমাণে পান করা যাবে না। চলুন জেনে নিই এবার কিছু সতর্কতা
যদিও ডাবের পানি গর্ভাবস্থায় পান করা অত্যন্ত উপকারী তবুও এটি পানের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ গর্ভাবস্থায় হল একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, এটিকে কোনভাবেই অবহেলা করা যাবে না।
সতর্কতা গুলো হলোঃ
- এটি শুধুমাত্র তাজা অবস্থায় খেতে হবে অর্থাৎ শুকিয়ে যাওয়া ডাবের পানি খাওয়া যাবে না।
- অতিরিক্ত পরিমাণে ডাবের পানি পান করা যাবে না।
- যদি এটি পান করার পর এলার্জির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ নিতে হবে।
শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা, সম্পর্কে আমরা উপরে অনেক আলোচনা করেছি। গর্ভাবস্থায় কি হলো মায়েদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এই সময়টাকে কখনোই হেলায় কাটিয়ে দেয়া যাবে না। গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি পানির অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই অবশ্যই গর্ভাবস্থায় শরীরে চাঙ্গা রাখতে, ডিহাইড্রেশন মুক্ত রাখতে, ক্লান্তি দূর করতে, হজমের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ডাবের পানি পান করা উচিত।
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি একটি পুষ্টিকর অত্যন্ত নিরাপদ একটি পানীয়। এটি মায়েদের শরীরে কে সুস্থ রাখতে ও মনকে সতেজ রাখতে অত্যন্ত সাহায্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও সন্তানের সঠিক মানসিক বিকাশ ঘটাতে এত গুরুত্বপূর্ণ পানীয় হলো এই ডাবের পানি। তাই অবশ্যই গর্ভবতী মায়েদের এটি পান করা উচিত। তবে সঠিক পরিমাণে গ্রহন করতে হবে, অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়।
তাই উপরে বর্ণিত বিষয় বলে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে। এর তেমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, তবে যদি এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। পুরো পোস্টটি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জ্ঞান পিপাসুর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url