জাম খেয়ে বিচি ফেলে দিচ্ছেন? ফেলে না দিয়ে এটা দিয়ে রোগবালাই প্রতিরোধ করুন

জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা, আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। জাম একটি মৌসুমী ফল, এটি মূলত গ্রীষ্মের দিকে পাওয়া যায়। এটার দাম আমাদের নাগালের মধ্যেই তাই এই ফল সবাই কিনে খেতে পারেন। কিন্তু আপনারা এরকম দৃশ্য দেখে থাকবেন যে বড় বাজারে যেমন কারওয়ান বাজারে ফলের আড়তে ফল বিক্রেতারা ভালো জাম থেকে বিচি আলাদা করে রাখছে, সেগুলো কেজি দরে বিক্রি করার জন্য। কিন্তু আমরা না জেনেই তা ফেলে দিই। চলুন জেনে নেয়া যাক এ সম্পর্কে বিস্তারিত 

পোস্ট সূচিপত্রঃ জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা 

জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা 

জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা, অধিকাংশ মানুষই জাম খাওয়ার পর এই জামের বিচি ফেলে দেয় কিন্তু এর চেয়ে অনেক ঔষধি গুনাগুন রয়েছে এ সম্পর্কে জানেনা। জাম মূলত একটি মৌসুমী ফল, এটি গ্রীষ্মের শেষের দিকে অল্প কিছু সময়ের জন্য পাওয়া যায়। কারওয়ান বাজারে যারা ফল বিক্রি করে তারা ভালো জাম থেকে বীজ আলাদা করে নিয়ে সেগুলো কেজি দরে বিক্রি করে থাকে। এরকম দেখে অনেকে মনে করতে পারেন যে এই জামগুলো কেন নষ্ট করছে তারা?

কিন্তু আসলে তারা নিজ আমগুলো নষ্ট করছে না। জাম বিক্রেতাদের কাছে জিজ্ঞেস করলে জানা যায় যে, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ কোম্পানি তাদের এই জামের বীজগুলো কিনে নেয় ওষুধ তৈরি করার জন্য। বাকি যেই ছালগুলো গুলো থাকে সেগুলা জুসের দোকান গুলোতে চাই। যা ব্যবসায়ী পুরোটাই লাভ থাকে। অনেকেই মনে করে থাকেন যে জামের বীজ রক্তের ইনসুলিন মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করে। নিম্নে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জামের বিচির ভূমিকা 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার একটি অন্যতম উপাদান হল এই জামের বিচি। জামের বিচি আপনাকে শুকিয়ে গুড়া করে নিতে হবে তারপর প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানির সাথে এক চা চামচ জামের বিচির গুঁড়া খেতে হবে, তাহলে আপনি সুফল পাবেন। এভাবে কয়েকদিন খেতে পারলেই আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে অর্থাৎ সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এই জামের বিচির গুড়োর পানি ইন্সুলেনের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

যার ফলে আপনার রক্তে সুগার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তাই যদি আপনি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান ও শরীর সুস্থ রাখতে চান তাহলে আপনি নিয়মিত এই জামের বিচির গোড়ার পানি খেতে পারেন। ডায়াবেটিস একটি গুরুতর রোগ, ডায়াবেটিস রোগ হলে মানুষের দিন দিন মেধা কমছে থাকে এবং স্মৃতিশক্তিও কমে যায়। তাই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা অতি গুরুত্বপূর্ণ।

পেট ভালো রাখতে জামের বিচির ভূমিকা

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষেরই পেটের নানান ধরনেরর সমস্যা থেকে থাকে। পেটের সমস্যা একটি বড় সমস্যায় বলা চলে। পেট ভালো না থাকলে কোন কিছুতেই শান্তি পাওয়া যায় না। পেটের গ্যাস এসিডিটি বদহজম নানান ধরনের সমস্যা আমাদের লেগেই থাকে। পেটের সমস্যা থেকে বাঁচতে অনেকেই নিয়মিত ওষুধ খেয়ে থাকেন যা সাময়িকভাবে অসুখ সারাতে পারে কিন্তু এই ওষুধ এভাবে নিয়মিত খাওয়া ঠিক না। তাহলে আমাদের শরীরের ক্ষতি হতে পারে ভবিষ্যতে।

প্রতিনিয়ত ঔষধ সেবনের ফলে আমাদের লিভার এবং কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ঔষধ না খেয়ে ঘরোয়া উপায়ে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এবং প্রতিরোধও গড়ে তোলা যাবে এই জামের বিচির মাধ্যমে। এজন্য আপনাকে জামের বিচি শুকিয়ে গুড়া করে নিয়ে প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। একটির কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে না যেমনটা ঔষধের হয়। 

উচ্চ রক্তচাপে জামের বিচির ভূমিকা

উচ্চ রক্তচাপ অর্থাৎ হাই ব্লাড প্রেসার থেকে মুক্ত থাকতে হলে আমাদেরকে আমাদের খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ রোগ যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তাহলে আমাদের কিডনির সমস্যা হতে পারে হার্টের সমস্যা হতে পারে চোখের সমস্যা সহ আরো বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে আপনাকে এই জামের বিচির গোড়া অত্যন্ত সাহায্য করবে। হাই ব্লাড প্রেসার এর ক্ষেত্রে সহজলভ্য এবং অধিক কার্যকরী একটি উপাদান হল এই জামে বিচি।

আপনি যদি এই জামের বিচির গুড়া পানিতে মিশে খেতে পারেন তাহলে আপনার উচ্চ রক্তচাপকে অর্থাৎ হাই ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণ করবে। জামের বিচির গুড়া হৃদপিণ্ড ভালো রাখতেও অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান বলা চলে। তাই যদি আপনারা আপনাদের হাই ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানির সাথে দামের বিচির গুঁড়া মিশিয়ে খান তাহলে এই উপকারসহ আরো অনেক ধরনের উপকার আপনারা পাবেন। এটি প্রাকৃতিক হওয়ায় এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জামের বিচির ভূমিকা 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান হল এই জামের বিচি। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় অর্থাৎ সকল ধরনের সংক্রামক রোগ থেকে আমাদের শরীরকে দূরে রাখে। ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ফাঙ্গাস এর মত যত ধরনের সমস্যা বা জীবাণু রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এই জামের বিচির গুড়া। তাই সুস্থ থাকার জন্য বা আপনার শরীরের একটি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধই করে তুলতে এই জামের বিচি গুড়া অবশ্যই খাবেন তাহলে এটা ছাড়াও অনেক ধরনের উপকারিতা আপনারা পাবেন।

সুস্থ থাকার জন্য আপনার এই জামের বিচির গুড়া অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। এটি নিয়মিত সেবনর ফলে আপনার শরীরে একটি রোগ প্রতিরোধী শরীর হিসেবে গড়ে উঠবে। এটি সেবার এর ফলে আপনার শরীরের সকল ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। প্রতিদিন সকালে জামের বিচির গুঁড়া এক চামচ নিয়ে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে সকালে খাবেন তাহলে এই উপকার আপনারা আপনাদের শরীরে নিজেরাই বুঝতে পারবেন।

ওজন কমাতে জামের বিচির ভূমিকা 

আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজনের ফলে নানান ধরনের রোগ দেখা দেয়। আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ আক্রমণ করার অন্যতম কারণ হতে পারে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন। আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজনের ফলে ডায়াবেটিস উচ্চারণ কোলেস্ট্রলজসহ আরো অনেক ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। তাই আপনার স্বাস্থ্য কে ঠিক রাখতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আপনার ওজন কমানো অত্যন্ত জরুরী।

আপনার শরীরের এই অতিরিক্ত ওজন কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মেডিসিন হতে পারে এই জামের বিচির গুঁড়া। নিয়মিত জামের বিচি খাওয়ার ফলে আপনার মেদ ঝরানো টা অনেক সহজ হয়ে যাবে। ভাই আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে দৈনিক আপনি এই জামের বিচি খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরে বিএমআই সঠিক মাত্রায় চলে আসবে। এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই কারণ এটি প্রাকৃতিক একটি খাবার।

ইমিউনিটি বাড়াতে জামের বিচি ভূমিকা 

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠিক থাকলেই আপনার শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি পাবে। আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে জামের বিচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠিক মতন কাজ করলে ভয়ংকর সকল ধরনের সংক্রমক থেকে বা অসুখ থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব এক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ফাঙ্গাস এর মত জীবাণু আমাদের দেহে বসবাস করতে পারে না। তাই যেভাবেই হোক আমাদের ইমিউনিটি বাড়ানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

জামের বিচি আমাদের শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে অত্যন্ত সাহায্য করে। তাই আমাদের শরীরে মাত্রা ঠিক রাখতে শরীরের সকল ধরনের রোগমুক্ত রাখতে নিয়মিত এই জামের বিচি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত জামের বিচি খেলে আমাদের শরীরে ইমিউনিটি বাড়ানো সম্ভব। তাই প্রতিদিন সকালে জামের বিচির গোড়া মেশানো পানি পান করতে আপনারা ভুলবেন না। তাহলে আপনাদের শরীরের ইমিউনিটির মাত্রা ঠিক থাকবে।

জামের বিচি কিভাবে ব্যবহার করবেন 

সর্ব প্রথম আপনাকে ফল থেকে বিচিগুলো আলাদা করে নিতে হবে। তারপর আপনার এই বীজ গুলিকে ভালোভাবে ধুয়ে শুকনো কাপড়ের উপর রেখে রোদে শুকাতে দিতে হবে ৪-৫ দিনের জন্য। বীজগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে যাওয়ার পর বাহিরের খোলসগুলো আমাদের ছাড়িয়ে নিতে হবে। বাহিরে খোলসগুলো ছাড়িয়ে সবুজ অংশ গুলো সংগ্রহ করে নিতে হবে। তারপর বীজের ভিতরের অংশগুলিকে আবারো রৌদ্রে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। এবার ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে এগুলোকে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন বা যেকোনো ভাবে পিশে নিবেন। 

পিছে নেওয়ার পর একটি কৌটাতে ভালোভাবে রেখে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানি বা এক গ্লাস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে নিয়মিত খেলে আপনার শরীরের পরিবর্তনগুলো আপনি নিজেই লক্ষ্য করতে পারবেন কিছুদিন পর। এছাড়াও বাজারে জামের বিচির গুঁড়া কিনতেও পাওয়া যায়। আপনি চাইলে সেগুলো কিনে নিতে পারেন। লোকাল বাজারে যদি না পান তাহলে আপনি এটি অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন। এভাবে আপনি জামের বিচি গুড়া নিয়মিত খাবেন তাহলে আপনার শরীরের পরিবর্তন গুলো আপনি বুঝতে পারবেন।

জামের বিচির অপকারিতা বা সতর্কতা 

আধাপাকা জাম খাওয়া ঠিক নয়। কারণ জাম ভালোভাবে না পাকলে তাতে পুষ্টিমান ঠিকমতো আসে না। এটি খালি পেটে খাওয়া যাবেনা তাহলে ছোটখাটো সমস্যা সম্মুখীন হতে পারেন। জাম খাওয়ার পরে দুধ খাওয়া যাবেনা। খালি পেটে পাকা জাম ফল খেলে অতিরিক্ত এসিডিটির সম্মুখীন হতে পারেন এজন্য খালি পেটে জাম খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া জামের কোন অপকারিতা নেই। তাই বলা যায় যে যায় যে উপকারী দিক অনেক কিন্তু অপকারী দিক তেমন নেই শুধু একটু সতর্কতা।

আপনাদের অনেক ধরনের রোগ থেকে দূরে রাখবে এই জাম ফলের বিচি তাই নিয়মিত আপনারা এই জাম ফলের বিচি খাবেন আপনাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য। তবে অবশ্যই আপনি এই সতর্কতা গুলো লক্ষ্য করে তারপরে খাবেন। তাহলে আপনার দাঁতের সমস্যা শরীর ওজন বৃদ্ধি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এছাড়াও সকল কিছু ভালো রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই জাম ফলের বিচি।

শেষ কথাঃ জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা

জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা, সম্পর্কে এই ব্লগে আলোচনা করেছি। এই আলোচনার মূল সারসংক্ষেপ হলো যে জামের বিচিতে অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে কিন্তু তেমন কোন অপকারিতা নেই শুধুমাত্র একটু সতর্কতা। যদি আমরা এই সতর্কতা গুলো লক্ষ্য করে জামের বিচি নিয়মিত খায় তাহলে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যেসব রোগের সম্মুখীন হতে হয় সকল ধরনের রোগের ক্ষেত্রে একটি প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তুলবে এই জামের বিচি। তাই নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় এটি অবশ্যই রাখুন। 

নিয়মিত জামের বিচি খেলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে পেট ভালো রাখবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অতিরিক্ত পরিমাণে ভালো করবে। এছাড়াও যদি আপনার শরীরের ওজন অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে এই জামের বিচি। শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল এই জামের বিচি। এছাড়াও যদি আপনার ইমিউনিটি মাত্রা কম মনে হয় অর্থাৎ শরীর দুর্বল দুর্বল লাগে তাহলে নিয়মিতভাবে এই জামের বিচি খেলে আপনি শরীরের এই ইমিউনিটির মাত্রা ঠিক করবে। পুরো পোস্টে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জ্ঞান পিপাসুর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url