সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে
সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে এ বিষয়টি সম্পর্কে আজকে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবো। এছাড়াও জানতে পারবেন ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি ? ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে সারাবিশ্বে একটি বড় কর্মক্ষেত্র তৈরি করেছে।
বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ফ্রিল্যান্সিং বাজার দিন দিন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে লক্ষ্য করা যায় কোভিড ১৯ এই মহামারী সময় থেকে মানুষ অনলাইনে ইনকাম অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে বহু পেশাজীবীরাই এগিয়ে যাচ্ছেন। এটি যে শুধু মাত্র টাকা ইনকামের উৎস তাই নয় বরং এটি চাকরির বিকল্প হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে
- সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে
- ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের স্থান কত ২০২৫
- ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত
- ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি
- সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের শতকরা কতজন
- ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কি সুবিধা হচ্ছে
- ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
- কোন দেশগুলো ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে
- কেন ফ্রিল্যান্সিং এত জনপ্রিয় - ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি
- ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং বাজারের সম্ভাবনা
- ফ্রিল্যান্সিং এর চ্যালেঞ্জ
- ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার উপায়
- শেষ কথাঃ সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে
সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে
সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে - বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট কয়েকশ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। গবেষণা তো দেখা গেছে ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং অর্থনীতি প্রায় ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার গিয়ে দাঁড়িয়েছিলো। প্রতিবছর এটি ১৫ থেকে ২০ পার্সেন্ট হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে বর্তমানে ২-২.১০ ট্রিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে। এসব গবেষণা থেকে বোঝা যায় যে ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং খাত আরো বেশি সম্প্রসারিত হবে। বর্তমানে ৭৭ থেকে ৮০ মিলিয়ন মানুষ ফ্রিল্যান্সিং পেশার সাথে সম্পৃক্ত অর্থাৎ নিয়োজিত।
ফ্রিল্যান্সিং পেশায় যুক্ত মানুষগুলো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এখন এই ফ্রিল্যান্সিং কিন্তু নতুন আয়ের উৎস হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তরুণেরা চাকরির অভাবে ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য ফ্রিল্যান্সিং পেশায় ঝুকছে। ইউরোপ, এশিয়া ল্যাটিন আমেরিকার অনেক দেশগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং পেশা ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এক জরিপে দেখা গেছে বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট কর্মসংস্থানের মধ্যে ৩৬ পার্সেন্ট ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের স্থান কত ২০২৫
বর্তমান বিশ্ব ২০২৫ সালে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন দেখতে যাচ্ছে, বাংলাদেশও এই পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং খাতে শীর্ষ দেশ গুলোর তালিকায় নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে, সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং খাতে দ্রুত উন্নতি করছে। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে উন্নতির পেছনে বড় একটি কারণ হলো দক্ষ কর্মী, প্রযুক্তি ব্যবহার ও বিদেশী ক্লায়েন্টদের আস্থা অর্জন করা।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ দশ এর মধ্যে। বাংলাদেশ বর্তমানে শীর্ষ ১০ এর তালিকায় যুক্ত হয়েছে। প্রযুক্তিবিদগণ মনে করছেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরো উন্নতি লাভ করবে।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং খাতের শক্তি
- বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করে থাকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে। ২০২৫ সালে ফ্রিল্যান্সিং থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে।
- বাংলাদেশ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ১ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার তৈরি করার লক্ষ্য রয়েছে। যা বাংলাদেশকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরো বেশি শক্তিশালী করে তুলবে। ফ্রিল্যান্সিং কর্মীরা তাদেরকে আরো বেশি দক্ষ করে তুলবে এবং নিজেদের পরিচয় আন্তর্জাতিক বাজারে তৈরি করবে।
- প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে ডিজিটাল দক্ষতা যেমন ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, এসইও এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে ফ্রিল্যান্সার আগের চেয়ে অধিক সংখ্যক বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৫ সালের ফ্রিল্যান্সিং খাত থেকে আরো বেশি আয় করা সম্ভব যদি সরকার এ বিষয়ে তৎপরতা আরো বৃদ্ধি করে। ফ্রিল্যান্সিং খাতে উন্নতি করতে হলে অবশ্যই প্রযুক্তি দিকে নজর আরো বৃদ্ধি করতে হবে এবং দক্ষ কর্মী গড়ার বিষয়ে আরো গুরুত্ব দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় জাম্বুরা খাওয়া যাবে কি (উপকারিতা ও সতর্কতা)
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত
বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান দিন দিন আরো বেশি মজবুত হচ্ছে। বিশেষ করে লক্ষ্য করা যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণে এই খাঁটি আরো বেশি প্রসারিত হচ্ছে। তবে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী-পুরুষ উভয়ের উল্লেখযোগ্য দুটি পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং খাতে নারীদের তুলনায় পুরুষের আধিপত্য বেশি লক্ষ্য করা যায়। যদিও বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত?
- ২০১৪ সালের এক জরিপে দেখা যায় যে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের শতকরা ৯% নারী।
- ২০২৩ সালের জরিপে দেখা যায় বাংলাদেশের সক্রিয় ফ্রান্সের মধ্যে ১১% নারী।
এ তথ্য থেকে দেখা যায় যে ফ্রিল্যান্সিং নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তবে সাথে নারীদের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ কম হওয়ার কারণ
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারীদের সংখ্যা কম হওয়ার পিছনে কয়েকটি কারণ লক্ষ্য করা যায় সেগুলো হলো
পারিবারিক ও সামাজিক বাধা
নারীরা ফ্রিল্যান্সিং করতে ইচ্ছুক হলেও অনেক পরিবার থেকে অনেক সময় সমর্থন দেয়া হয় না। আগের মত বর্তমানেও কোন কিছু পরিবার রয়েছে যারা নারীদের বাহিরে কাজ করা বা ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করার বিষয়টি গুরুত্ব দেন না।
প্রযুক্তির দক্ষতার অভাব
ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন কিন্তু অনেক নারীরা ইচ্ছা থাকলেও নিজেকে দক্ষ করে তোলার মতো কোনো সুযোগ পান না। এর পেছনে মূল কারণগুলো বেশিরভাগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শহরকেন্দ্রিক এবং অনলাইন প্রশিক্ষণ এবং সাপোর্ট সিস্টেম না থাকে।
আত্মবিশ্বাসের অভাব ও ভাষাগত সমস্যা
অনেক নারীরা মনে করেন যে তারা আন্তর্জাতিক সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না কারণ তারা ইংরেজিতে দুর্বল। এর ফলে নারীরা পিছে পড়ছে।
সাইবার নিরাপত্তা ও স্থায়ী আয়ের অনিশ্চয়তা
অনেক নারীরা ফ্রিল্যান্সিং এ আসতে ভয় পান কারণ অনলাইনে নারীদেরকে হয়রানি ও স্কামের শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অন্য পেশার মতো একটি নির্দিষ্ট বেতন না থাকার কারণে নারীরা মনে করে ফ্রিল্যান্সিং তাদের জন্য নয়। এছাড়াও এখানে কাজ পাওয়ার প্রতিযোগিতা রয়েছে তাই এরকম নানামুখী অনিশ্চয়তার ফলে নারীরা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে পিছিয়ে রয়েছে।
নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে যেসব কার্যক্রম করা যেতে পারে
নারীদেরকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরও বেশি অগ্রসর করার জন্য সক্রিয়ভাবে
সরকারিভাবে বেসরকারিভাবে এবং সকল ফ্রিল্যান্সিং কমিউনিটির একতাবদ্ধ হবে কাজ করতে
হবে।
- নারীদেরকে বিনামূল্যে অর্থাৎ সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে ডিজিটাল দক্ষতার প্রশিক্ষণ দিতে হবে বিশেষ করে গ্রামের নারীদের ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।
- নারীদের জন্য ফ্রান্সিং সেক্টরে সকল ধরনের সাপোর্ট দেয়ার জন্য গ্রুপ তৈরি করতে হবে যেখানে তারা তাদের শেখার বিষয়ে সকল সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবে।
- নারীদের পিছিয়ে পড়ার মূল যে কারণ লক্ষ্য করা যায় তা হল সাইবার নিরাপত্তার অভাব। নারীরা অনলাইনে নিরাপদ থাকে এরকম ভাবে সাইবার নিরাপত্তা দেওয়া অতি জরুরী।
- নারীদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এটি করা যেতে পারে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন বা কর্মশালা মাধ্যমে। যাতে তাদের ভ্রান্ত ধারণা দূর হয় এবং এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এগিয়ে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারীদের ভবিষ্যৎ
বাংলাদেশে নারীরা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে তাদের অবস্থান দিন দিন মজবুত করছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায় নানা রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফলে নারীরা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে কিছুটা দূরে সরে রয়েছে। যদি দূর করা যায় তবে আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে নারীরা তাদের অংশগ্রহণের দিক দিয়ে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
ফ্রিল্যান্সিং খাত থেকে নারীরা ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করতে পারে এবং নিজেদেরকে
স্বাবলম্বী করে তুলতে পারে। নারীদেরকে সঠিক প্রশিক্ষণ ও পারিবারিক সমর্থন ও
সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলালে নারীরা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে তাদেরকে আরো মজবুত করে
তুলতে পারে। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে পুরুষের তুলনায় নারীদের
অংশগ্রহণ এখনো অনেক কম। সরকারিভাবে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ভবিষ্যতে নারীদের
অংশগ্রহণের সংখ্যা আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে।
আরো পড়ুনঃ পরিযায়ী পাখির নামের তালিকা ও তাদের রহস্যময় জগৎ
ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বিশ্বব্যাপী এবং অন্যতম শিল্পে পরিণত হয়েছে। আজকাল মানুষ ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে সক্ষম হচ্ছে এবং সেবা প্রদান করতে পারছে। ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি? ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা দিক বিবেচনা করলে কয়েকটি প্লাটফর্ম সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং ব্যবহৃত হয়। এই মার্কেট গুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে থাকা মার্কেট হলোঃ
- আপওয়ার্ক
- ফাইভার
- ফ্রিল্যান্সার ডটকম
- পিপুল পার আওয়ার
- টপটাল
উপরে বর্ণিত প্ল্যাটফর্ম গুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। চলুন জেনে নেয়া যাক এসব মার্কেটপ্লেসের ব্যাপারে বিস্তারিত।
আপওয়ার্ক
আপওয়ার্ক হল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় লোক সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্ট এখানে বেশি রয়েছে। আপওয়ার্ক মূলত ইলান্স ও ওডেস্ক এই দুইটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস একতাবদ্ধ হয়ে ২০১৫ সালে আপওয়ার্ক নামে আত্মপ্রকাশ করে।
আপওয়ার্ক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
- নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারদের পরিমাণঃ এক কোটি পঁচিশ লাখ + নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে আপওয়ার্ক এ।
- নিবন্ধিত ক্লায়েন্টের পরিমাণঃ ৫৫ লাখ + নিবন্ধিত ক্লায়েন্ট রয়েছে আপওয়ার্ক এ।
- বাৎসরিক পোষ্টের সংখ্যাঃ প্রতিবছর এই মার্কেটপ্লেসে ৩০ লাখ প্লাস প্রজেক্ট পোস্ট করা হয়।
আপওয়ার্ক যেসব কাজের জন্য জনপ্রিয়ঃ
- ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- কনটেন্ট রাইটিং
- এসইও
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ডাটা এন্ট্রি
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
ফাইভার
- নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারের পরিমাণঃ এখানে নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার পরিমাণ প্রায় ৫০ লাখ প্লাস।
- এখানে ফ্রিল্যান্সার তাদের সেবা গিগের মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি মূল্যে বিক্রি করে থাকে। এখানে সাধারণত ৫ ডলার থেকে কাজ শুরু।
- ওয়েব ডিজাইন, মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং ও ভিডিও এডিটিং এর জন্য জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস।
ফ্রিল্যান্সার ডটকম
- নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সারের পরিমাণঃ ৬ কোটির বেশি নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে এই মার্কেটপ্লেসে।
- এটি বিশ্বের অন্যতম পুরনো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এখানে ছোট-বড় সব ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে।
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, লেখালেখি মার্কেটিং এবং অন্যান্য বিভিন্ন কাজের জন্য জনপ্রিয়।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজে সুযোগ ও ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক বিবেচনা করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস হলো ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও আপওয়ার্ক। এখানে প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে অনেক ইনকাম করছে। ফাইভার ও টপটাল জনপ্রিয় তালিকায় রয়েছে। আপওয়ার্ক এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এখানে ছোট বড় সকল ধরনের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রোফাইল তৈরি করে ঘরে বসে ইনকাম করার সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের শতকরা কতজন
বর্তমানে সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক
খাত হিসেবে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে সারা
বিশ্বের ফ্রিল্যান্সাররা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে লক্ষ
লক্ষ ডলার আয় করছে। এ থেকে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। বাংলাদেশ বিশ্বের
সর্বোচ্চ ১০ এর তালিকায় না থাকলেও বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক অবদান
রেখেছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ
এগিয়ে যাচ্ছে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে।
বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররাও বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর
উল্লেখযোগ্য একটি স্থান দখল করে আছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশী
ফ্রিল্যান্সারদের শতকরা কতজন? বিভিন্ন জরিপ থেকে দেখা যায় বিশ্বব্যাপী
ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে ১৪% বাংলাদেশী। এর ফলে বাংলাদেশ
বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে নিজেদের স্থান
করে নিয়েছে।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন কিছু পোস্টঃ
সকালে খালি পেটে রসুন ও মধু খাওয়ার ৮ টি উপকারিতা জানুন
শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার ১০ টি উপায়
বিশ্বব্যাপী ফিনান্সিংয়ে আয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদান
- বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা প্রতি বছর এক বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ১০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে থাকে।
- সরকারি তথ্যমতে বর্তমানে বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে এবং পার্ট টাইম ফ্রান্সের রয়েছে প্রায় ৭ লাখ।
- বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার গুলোর মধ্যে ৬৪% ফ্রীলান্সার টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার নামে স্বীকৃত।
বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের সাফল্যের কারণ
- বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের আইটি সেক্টরে সাফল্যের অন্যতম কারণ হলো তাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির জ্ঞান আহরণের ব্যাপারে আগ্রহ। বর্তমানে বাংলাদেশী তরুণরা ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, এসইও এবং কনটেন্ট রাইটিং এর দক্ষতা অর্জন করছেন।
- বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম খরচে উন্নত কাজ সরবরাহ করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ অঞ্চলের ফ্রিল্যান্সার দ্বারা বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাতের তুলনায় অধিক পরিমাণে পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। তাই আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টরা বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার গুলোকে অধিক পছন্দ করে থাকেন।
- বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, ফাইভার এবং পিপুল পার আওয়ার এসব মার্কেটপ্লেসগুলোতে নিজেদের একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে বাংলাদেশি ফ্রান্সেরদের সংখ্যা প্রায় ১৪% যা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। প্রতিবছর বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা এক বিলিয়ন ডলার আয় করছে এই ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে। যদি বাংলাদেশে সরকারিভাবে আরো বেশি তৎপর হওয়া যায় তাহলে আরো বেশি উন্নতি সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কি সুবিধা হচ্ছে
সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশের একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি শুধুমাত্র যে ব্যক্তিগত উন্নতি লাভ করছে তাই নয় বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উপর একটি আসুক ইতিবাচক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ছে। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও ফ্রিল্যান্সিং খাত থেকে ব্যাপক সুবিধা লাভ করছে। সুবিধাগুলো যে বর্ণনা করা হলোঃ
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং অর্থনীতির সমৃদ্ধি
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা প্রতিবছর প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন করে থাকে। এ আই এ আই আমাদের দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি ভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি অবদান রাখছে। রপ্তানি নির্ভর অর্থনৈতিক বিকল্প খাত হিসেবে কাজ করছে।
বেকারত্ব কমানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি
বাংলাদেশের জনসংখ্যার তুলনায় চাকরি সংকট, যার ফলে অধিকাংশ তরুণী বেকারত্ব সমস্যা সম্মুখীন। ফ্রিল্যান্সিং তাদের জন্য চমৎকার একটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে আমাদের দেশের ১০ লাখেরও বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার এবং ৭ লাখেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার পার্ট টাইম হিসেবে কাজ করছে। এতে করে বেকারত্ব সমস্যা দূর হচ্ছে এবং দেশের অর্থনৈতিক রিজার্ভ বাড়াতে সাহায্য করছে।
নতুন দক্ষতার বিকাশ ও প্রযুক্তির উন্নতি
ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের তরুণরাও নিজেদের দক্ষতাকে বৃদ্ধি করছে, যা ভবিষ্যতে আমাদের আইটি সেক্টরের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার
আমাদের দেশের অনেক নারী ঘর থেকে বের হয়ে গিয়ে চাকরি করতে পারেন না তাদের জন্য নতুন সম্ভাবনা আর দুয়ার সৃষ্টি করেছে ফ্রিল্যান্সিং। নারীরা এখন ঘরে বসেই গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, কন্টেন্ট রাইটিং, এসইও এবং ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করতে পারছে। এসব কাজের মাধ্যম দিয়ে নারীরা অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করছে এবং দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধি করছে।
উদ্যোক্তা তৈরির সুযোগ
অনেক তরুণরা ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিজে ব্যবসা শুরু করছেন, যা যা বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে আরো সমৃদ্ধশালী করে তুলছে। নিজস্ব ব্যবসা তৈরির ফলে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে এবং দেশীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ বয়ে আনছে।
শিক্ষার্থীদের আয় ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ
বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করছে, যার ফলে তারা অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হচ্ছে। শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হচ্ছে তাই নয় বরং তারা তাদের আরো বেশি বৃদ্ধি করার সুযোগ পাচ্ছে।
সরকারি আয় বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন
বাংলাদেশ সরকার ফ্রিল্যান্সিং থেকে নানাভাবে রাজস্ব আয় করছে। ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জিত অর্থ ব্যাংকের মাধ্যম দিয়ে আসে যার ফলে ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে সরকার এখন ফ্রিল্যান্সারদের আয় করার আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে, এতে করে দেশের আরো উন্নতি সম্ভব হবে। এছাড়াও ডলার সংকট মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
আরো পড়ুনঃ লুডু গেম খেলে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশে
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজে চাহিদা বেশি
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে এ কাজগুলোর মধ্যে কিছু কিছু কাজ
সবচেয়ে বেশি থাকে। ২০২৫ সালে যেসব কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো নিম্নে তুলে
ধরা হলোঃ
কনটেন্ট রাইটিং এন্ড কপিরাইটিং
- ব্লগ পোস্ট অর্থাৎ আর্টিকেল রাইটিং
- ওয়েবসাইট কপিরাইটিং
- এসইও অপটিমাইজড কনটেন্ট রাইটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- স্ক্রিপ্ট রাইটিং
গ্রাফিক্স ডিজাইন এন্ড ভিডিও এডিটিং
- লোগো ডিজাইন
- সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন
- ইউ আই ডিজাইন
- মোশন গ্রাফিক্স অ্যান্ড ভিডিও এডিটিং
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট
- ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি
- শপিফাই, উকমার্স ওয়েবসাইট তৈরি
- ফ্রন্টএন্ড ডিজাইন
- ব্যাকএন্ড ডিজাইন
- ফুলস্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট
ডিজিটাল মার্কেটিং
- অনপেজ এসইও
- ফেসবুক এন্ড গুগল এডস
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- ইমেইল মার্কেটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
এআই এন্ড মেশিন লার্নিং
- অ্যান্ড্রয়েড ও আইএসও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- ডাটাএলাইসিস অ্যান্ড অটোমেশন
- চ্যাটবট ডেভেলপমেন্ট
ডাটা এন্ট্রি এন্ড ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- মাইক্রোসফট এক্সেল ও গুগল সিট এর কাজ
- ডাটা স্ক্যাপিং ও ম্যানেজমেন্ট
- ট্রান্সক্রিপশন ও কনভারশন
এই দক্ষতা গুলো অর্জন করলে যে কোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারবেন। যে বিষয়টা নিয়ে আপনি কাজ করতে ইচ্ছুক সে বিষয়ে আপনার পুরোপুরি দক্ষ হতে হবে।
কোন দেশগুলো ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে কিছু দেশ ব্যাপক এগিয়ে রয়েছে কারণ হল
তাদের দক্ষ জনবল রয়েছে প্রযুক্তিগত সুবিধা রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের
সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা বেশি। চলুন জেনে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিংয়ে
শীর্ষস্থানে থাকা দেশগুলোর নাম ও বিস্তারিতঃ
১. যুক্তরাষ্ট্র
- ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের বড় একটি অংশ দখল করে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
- ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং এসব বিষয়ে দক্ষ এবং সর্বোচ্চ কাজ করে থাকে।
- আপওয়ার্ক, ফাইভার এসব মার্কেটপ্লেসে মার্কিন ক্লায়েন্ট সবচেয়ে বেশি।
২. ভারত
- ভারতে সস্তায় দক্ষ কর্মী পাওয়া যায় এতে করে আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের বেশ পছন্দের একটি দেশ।
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও গ্রাফিক্স ডিজাইন এর শীর্ষ স্থানে আছে ভারত।
- প্রতিবছর হাজার হাজার নতুন ফ্রিল্যান্সার তৈরি করছে।
আরো পড়ুনঃ কিশোরীদের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানুন
৩. ফিলিপাইন
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাস্টমার সার্ভিস ও ট্রান্সক্রিপশন কাজে শীর্ষ স্থানে রয়েছে এই দেশ।
- ইংরেজিতে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানে রয়েছে।
- ফাইভার ও আপওয়ার্ক এ দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
৪. পাকিস্তান
- পাকিস্তানের সরকার গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং খাতকে উৎসাহ প্রদান করে থাকে।
- ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে ভালো একটি অবস্থানে রয়েছে।
- ফাইভার ও আপওয়ার্ক এ অনেক সফল ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।
৫. বাংলাদেশ
- বিশ্বের অন্যতম স্বল্প সময়ে দ্রুত বর্ধনশীল ফ্রিল্যান্সিং দেশ হিসেবে রয়েছে।
- গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ডিজিটাল মার্কেটিং এসব বিষয়ে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।
- ফাইভার ও আপওয়ার্ক এ বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের অবস্থান অনেক ভালো।
৬. যুক্তরাজ্য
- এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং ও কনটেন্ট রাইটিং এ অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে এদেশের।
- যেসব ক্লাইন্ট উচ্চ উচ্চমূল্যের কাজ সরবরাহ করে থাকে তারা এ দেশকে বেছে নেয়।
- লোকাল ও আন্তর্জাতিকভাবে এদেশের ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা রয়েছে।
৭. রাশিয়া
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এ আই ও ডেটা সায়েন্স শীর্ষে রয়েছে এ দেশ।
- বড় বড় কোম্পানির প্রোজেক্টে কাজের সুযোগ রয়েছে।
- ফাইভার ও আপওয়ার্ক এ এদেশের ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা রয়েছে।
৮. ইউক্রেন
- টেকনোলজি ও আইটি সার্ভিসে এ দেশ অন্যতম।
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ওয়েব ডিজাইন বিষয় এ দেশের চাহিদা অনেক।
- আমেরিকান বড় বড় কোম্পানির ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোম্পানির ক্লায়েন্টের কাজ করে থাকে এ দেশটি।
ফ্রিল্যান্সিং এর সফল হতে হলে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপর দক্ষতা
অর্জন করতে হবে। দক্ষতা অর্জন করা ছাড়া এ সেক্টরে কোনভাবেই সফল হওয়া সম্ভব
না। দক্ষতা তৈরীর পাশাপাশি নিজেকে ধৈর্যশীল করতে
হবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর হল এমন একটি সেক্টর যেখানে আপনাকে ধরা বাধা কোন
নিয়মে কাজ করতে হবে না এবং আপনি যে নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট এর বেতন পাবেন তাও নয়।
এজন্য সর্বোপরি ধৈর্য ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি এটি স্বাস্থ্যকর না ক্ষতিকর
কেন ফ্রিল্যান্সিং এত জনপ্রিয় - ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি
সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে - কেন ফ্রিল্যান্সিং এত
জনপ্রিয়? ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয় হওয়ার ব্যাপারে কিছু কারণ রয়েছে
কারণগুলো হল এখানে ইনকাম, স্বাধীনতা এবং সুযোগের কোন ধরনের অভাব
নেই। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং শুধু পার্টটাইম কাজ হিসেবে নয় বরং ফুল টাইম
অর্থাৎ নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে লাখ লাখ মানুষ এটিকে বেছে নিচ্ছে। চলুন জেনে
নেই ফ্রিল্যান্সিং কেন এত জনপ্রিয় হচ্ছে তার প্রধান কিছু কারণ গুলি
- ইনকামের কোন সীমা নেই
- কাজের স্বাধীনতা
- যেকোনো সময় কাজ শুরু করা যায়
- আন্তর্জাতিকভাবে আয়ের সুযোগ
- অনেক ধরনের কাজ
- প্যাসিভ ইনকাম
- ভবিষ্যৎ চাকরির বাজার ফ্রিল্যান্সিং নির্ভর হবে
- চাকরির বিকল্প অর্থাৎ বেকারত্বের সমাধান
ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি নিজের ইচ্ছামত অর্থাৎ নিজের কাজ অনুযায়ী আপনি ইনকাম করা
যায়। এখানে নির্দিষ্ট কোনো বেতন নেই, একজন ফ্রিল্যান্সার যত বেশি কাজ করবে
তত আয় হবে। এছাড়াও এখানে কোন কাজের বিষয়ে প্রেসার নেই। চাকরি করতে গেলে
সেখানে বস এর কথা মেনে নির্দিষ্ট টাইমে কাজ করতে হয় কিন্তু এখানে সে ধরা
বাধা নিয়ম নেই এখানে মন চাইলে করা যায় আবার না করলেও কোন জবাব দিয়ে
তা করতে হবে না।
এখানে কোন নির্দিষ্ট ডিগ্রির প্রয়োজন নেই যে কোন বয়সের যেকোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা
সম্পন্ন লোক কাজ করতে পারে। তবে এখানে কাজ করতে হলে অবশ্যই নিজেকে
কোন একটি বিষয়ে পারদর্শী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে তাহলে এখানে কাজ করা সম্ভব।
এছাড়াও বিশ্বব্যাপী কাজ করার ফলে আন্তর্জাতিক কয়েন্ট অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া
কানাডা ইউরোপ ইউএসএ এসব দেশের সাথে কাজ করা যায়। এতে করে অধিক পরিমাণে ইনকাম করা
সম্ভব হয়।
চাকরি করতে হলে নির্দিষ্ট কোন একটি বিষয়ে চাকরি করতে হয় এখানে তেমন
নয়। আপনি যে বিষয়ের উপর নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারবেন সে বিষয়ে কাজ করতে
পারবেন। এখানে নানান ধরনের কাজ রয়েছে এ কাজগুলোর মধ্যে আপনাকে আপনার পছন্দ
অনুযায়ী বাছাই করে নিয়ে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে। ব্লগিং,
ইউটিউব এসবে কাজ করলে দীর্ঘমেয়াদি ইনকাম করা সম্ভব হয়। লোগো ডিজাইন
করে রাখলে বা কোন থিম ডিজাইন করে সেগুলো বারবার বিক্রি করা যায় যার ফলে ইনকামের
একটি সুবিধা লক্ষ্য করা যায়।
আরো পড়ুনঃ বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের ১০ টি শারীরিক পরিবর্তন
এখন বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানিতে ফুল টাইম কর্মচারী না রেখে ফ্রিল্যান্সারদেরকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাই বলা যায় যে ভবিষ্যৎ চাকরির বাজার ফ্রিল্যান্সিং নির্ভর হবে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা ক্যারিয়ার যেখানে আপনি নিজেই অন্যদেরকে চাকরি দিতে পারেন। এখানে কোন বস নেই এতে করে নিজের ইচ্ছামত নিজের সুবিধা মত সময়ে কাজগুলো করা যায়। শুধু যে নিজের সুবিধা মত কাজ করা যায় তাই নয় আন্তর্জাতিক বায়ারদের সাথে কাজ করার ফলে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হচ্ছে।
তাই বলা যায় যে এ সকল ধরনের সুবিধার জন্য মানুষ ফ্রান্সিংকে নিজের পেশা হিসেবে
বেছে নিচ্ছে।ফ্রিল্যান্সিং যে শুধু ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক দিককে স্বাবলম্বী করে তাই
নয় এটি দেশের অনেক উপকারে আসছে। তাই বলা যায় যে উপর বর্ণিত বিষয়গুলোর
কারণে ফ্রিল্যান্সিং দিন দিন জনপ্রিয়তা লাভ করছে এবং ভবিষ্যতে এর প্রসার আরো
বৃদ্ধি হবে।
ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং বাজারের সম্ভাবনা
ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং বাজারের সম্ভাবনা আকাশচুম্বী। বর্তমানে দিন দিন
প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা এবং সঠিক ব্যবহারের ফলে মানুষ
দিন দিন এখন অনেক উন্নত হচ্ছে।বর্তমানে বিশ্বের চাকরি বাজার পুরোপুরি বদলে
দিয়েছে ফ্রিল্যান্সিং। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বর্তমানে রিমোট ওয়ার্কের
জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ফ্রিল্যান্সিং আরও বেশি প্রসারিত
হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৫০% কোম্পানির ফুল টাইম কর্মচারীদের বদলে
ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ করা হবে।
ভবিষ্যতে এ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পাবে এআই এবং মেশিন লার্নিং, সাইবার সিকিউরিটি, ব্লক চেন, মেটাভারস ও ডেভেলপমেন্ট সব ধরনের কাজগুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করবে। কোম্পানির রিমোট ওয়ার্কিং এর জন্য ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ করা হচ্ছে।বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট এক্সেস সহজ হওয়ায় এ ধরনের কাজগুলো আরো সহজ হয়ে গেছে।
ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সফল হতে হলে ও মার্কেটে টিকে থাকতে হলে নতুন
নতুন স্কিল শিখতে হবে। এআই, মেটাভার্স এসব বিষয়ে নিজে দক্ষতাকে বাড়িয়ে
তুলতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে নিজের প্রোফাইল আরো মজবুত এবং
শক্তিশালী করে তুলতে হবে। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে সফল হতে হলে
সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে নিজের ব্র্যান্ডিং অর্থাৎ মার্কেটিং বাড়াতে
হবে। ফ্রিল্যান্সিং শুধু পার্ট টাইম কাজ নয়, এর ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার
অনেক উজ্জ্বল। তাই এখনই সময় নিজের দক্ষতাকে বাড়িয়ে তোলার।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
ফ্রিল্যান্সিং এর চ্যালেঞ্জ
ফ্রিল্যান্সিং পেশায় স্বাধীনতা, অধিক ইনকামের সুযোগ এবং উজ্জল ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ থাকলেও সে পর্যন্ত পৌঁছার রাস্তাও একেবারে সোজা নয়। এই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সফল হতে হলে সর্বপ্রথম ধৈর্য ধারণ করতে হবে কারণ এই পেশায় কোন নির্দিষ্ট বেতন নেই এবং প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে নানা রকম বাধার সম্মুখীন হতে হবে। সেই বাধা গুলো কাটিয়ে উঠতে পারলেই সফল হওয়া যাবে।
ফ্রিল্যান্সিং পেশার মূল চ্যালেঞ্জ গুলো হলো
- শুরুতে কাজ পাওয়া কঠিন
- অনিশ্চিত ইনকাম অর্থাৎ সব সময় কাজ নাও থাকতে পারে
- প্রতিযোগিতা অনেক বেশি
- স্কিল আপগ্রেড না হলে পিছিয়ে পড়া সম্ভবনা
- ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগের সমস্যা
- সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা
ফ্রিল্যান্সিং যাত্রায় প্রথম অবস্থায় কাজ পাওয়া অনেক কঠিন কারণ প্রোফাইল রিভিউ না হওয়া, প্রোফাইলে রেটিং না থাকা এবং অভিজ্ঞতা কম থাকা। প্রথম অবস্থায় এরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আবার ফ্রিল্যান্সিংয়ে কখনো কখনো কাজ থাকে আবার কখনো কাজ একদম থাকেই না যা নতুনদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে তাই যাদের স্কিল কম প্রোফাইলে রিভিউ কম এবার নতুন তাদের ক্ষেত্রে এখানে টিকে থাকা একটু কঠিন। তাই শুধু সাধারণ স্কিল থাকলেই হবে না, নিজেকে সবসময় আপডেট রাখতে হবে।
প্রযুক্তি উন্নয়নের ফলে প্রতিদিন নতুন নতুন আপডেট আসছে সেজন্য সব সময় নিজেকে প্রযুক্তির আপডেটের সাথে তাল মিলিয়ে আপগ্রেট করতে হবে। এছাড়াও নতুন ফ্রিল্যান্সাররা যে সমস্যাটা সম্মুখীন হয়ে থাকেন তা হলো ক্লায়েন্টের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে না পারা। অনেকে ক্লায়েন্টের সাথে ঠিকভাবে কথা বলতে পারেন না অর্থাৎ ক্লায়েন্ট যে কাজটি বুঝিয়ে দিচ্ছে সে বুঝতে পারেন না এরকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই অবশ্যই নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে। প্রযুক্তি দিনদিন উন্নত হচ্ছে তাই নিজেকে প্রযুক্তির সাথে আপগ্রেড করা অত্যন্ত জরুরি। তাহলে আপনাকে কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে না।
আরো পড়ুনঃ পুরুষদের জন্যে আদার খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা জেনে নিন
ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে যে যত বেশি দক্ষ হবে, পরিশ্রমে হবে, হার্ডওয়ার্কার হবে সে তত বেশি সফল হবে। তবে শুধু একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হলেই হবে না কাজ পেতে হলে এর কিছু স্ট্র্যাটেজি ফলো করা জরুরী। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সফল হতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অনেককে দেখা যায় একটি কাজ শিখতে গিয়ে আরেকটি কাজ এর মধ্যে ঢুকে পড়েন, এটা না করে শুধুমাত্র একটি বিষয়ের উপর ফোকাস রাখা জরুরি।
যে বিষয়টা সহজ মনে হবে বা পারবেন বলে মনে হবে সে বিষয়টা আছে আগে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে তারপর ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ গিয়ে একটি ভাল মানের পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে। পোর্টফোলিওটি অবশ্যই প্রফেশনাল হতে হবে। প্রোফাইল তৈরি করার পর কিছু প্রজেক্ট তৈরি করে সেখানে আপলোড করে তাহলে যাতে ক্লায়েন্ট বুঝতে পারে আপনি কি ধরনের কাজ করেন। মার্কেটপ্লেস বাছাই করার পর আপনাকে একটিতেই ফোকাস রাখতে হবে।
প্রথম অবস্থায় স্বল্প রেটে ক্লায়েন্টদের সার্ভিস প্রদান করবেন এবং ভালো সার্ভিস প্রদান করে ফাইভ স্টার রেটিং জমানোর চেষ্টা করুন। যখন আপনি একবার আপনার প্রোফাইলের রিভিউ রেটিং যুক্ত করতে পারবেন তারপর থেকে আপনার কাজের মূল্য আস্তে আস্তে বাড়াতে পারেন। ক্লায়েন্টদের পোস্ট করা কাজের প্রপোজাল সুন্দর করে লিখবেন। প্রপোজাল আকর্ষণীয় হলে ক্লাইন্ট আপনার দিকে নজর দিবে। শুধু মার্কেটপ্লেসেই কাজ না খুঁজে লিংকডিন, ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম এসবে প্রফেশনাল ক্লাইন্ট খোজার চেষ্টা করুন।
এর আগেও বলেছি ফ্রিল্যান্সিংয়ের সফল হতে হলে আপনাকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কিছু শিখতে হবে। এরপর সর্বশেষ আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে রাতারাতি সফলতা পাওয়া যাবে এমন কোন বিষয় নয়। ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে। কোনভাবেই হাল ছাড়া যাবে না। সফল ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সবাই প্রথম অবস্থায় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ আমড়ার বিস্ময়কর ১০ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
শেষ কথাঃ সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে
সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে - এই ব্লগে আমরা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে আলোচনা করেছি। ফ্রিল্যান্সিং শুধুমাত্র একটি কাজের নাম নয়, এটি হলো একটি স্বাধীনতার নাম। যেখানে সময়, স্থান কিংবা বসের হুকুম মতো কাজের প্রেসার নেই। শুধু নিজের দক্ষতা ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। বিশ্বজুড়ে ফ্রিল্যান্সাররা ট্রিলিয়ন ডলার আয় করছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদেরও একটি শক্ত অবস্থান রয়েছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। তবে শুধু সফলতার কথা ভাবলেই হবে না এই সফলতার জন্য প্রয়োজন অধ্যাবসায়, নিজের কাজ শেখার স্পৃহা এবং ধৈর্য। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক প্রতিযোগিতা তবে প্রতিযোগিতা থাকলেও যদি নিজের দক্ষতা থাকে তাহলে কাজের অভাব হয় না। যারা এখন নিজেদের দক্ষতাকে বৃদ্ধি করবে তারাই ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে।
তাই অপেক্ষা না করে আপনিও নিজের দক্ষতাকে বৃদ্ধি করে ফ্রিল্যান্সিং করার প্রস্তুতি নিন, শিখুন এবং নিজের ভাগ্যকে পরিবর্তন করে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। ফ্রিল্যান্সিং শুধু একটি আয় করার মাধ্যম নয় বরং একটি স্বাধীন জীবনের গল্প।
জ্ঞান পিপাসুর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url